আমেরিকার উন্নতিতে ভরসা বিদেশি শিক্ষার্থীরাই

গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা
গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় পড়তে শিক্ষার্থীরা দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছেন। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০২২-২৩ সালে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা সে দেশের অর্থনীতিতে ৪০১০ কোটি ডলারের অবদান রেখেছেন। তাই দেশটির ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে এসব বিদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এর মধ্যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জনধারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের গ্রিন কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের নীতি বাস্তবায়িত হলে গ্রিন কার্ড হাতে পাওয়ার আশায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের এ ভিড় আমেরিকায় আরও বাড়বে।

আগামী নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর প্রচারণা শুরু করেছেন। এবারে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প গ্রিন কার্ডকেই তুরুপের তাস করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের দাবি, ক্ষমতায় এলে আমেরিকার যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের হাতে গ্রিন কার্ড তুলে দেবেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত আমেরিকায় থাকা প্রবাসীদের মন জয় করতেই নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এমন ঘোষণা দিয়েছেন। ভোট টানতেই গ্রিন কার্ড নিয়ে এই প্রতিশ্রুতি তার।

এক বিদেশি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী আমেরিকার কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা জন্য গেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে ট্রাম্প যদি গ্রিন কার্ডের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেন, তাহলে সেই সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে, ট্রাম্পের গ্রিন কার্ড নীতি সফল হলে আমেরিকার উচ্চ শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা আকর্ষিত হলে পড়াশোনার ক্ষেত্র, বাসস্থান এবং চাকরির সুযোগেও পরিকাঠামোগত উন্নতি হতে পারে।

জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি-লেভেল স্টুডেন্টস’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা গেছেন ৮ হাজার ৫২৪ শিক্ষার্থী। এর আগে গত বছর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য গেছেন ৮ হাজার ৬৬৫ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।

এর আগে, ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীনও গ্রিন কার্ড নীতিতে বদল এসেছিল। ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় থমকে গিয়েছিল গ্রিন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া। গ্রিন কার্ডের লাখ লাখ আবেদন ছাড়পত্র না পেয়ে জমতে থাকে। এরপর ক্ষমতায় আসার পরই আমেরিকার অভিবাসন আইনে আমূল সংস্কার করতে উদ্যোগী হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


সর্বশেষ সংবাদ